আমাদের সময় ব্লগ -মিচকে_শয়তান

কিছু গল্প কিছু স্বপ্ন সবই তো আমাদের | স্বপ্ন পূরন এর দিবে পারবেনা কেউ বাঁধা যদি থাকে ইচ্ছা ও মনের আশা তবেই তো হবে এটা আমাদের সময় .

Wednesday, April 17, 2019

আমাদের বার আউলিয়া




বারো আউলিয়া কথাটি বাংলাদেশের সর্বত্র বিশেষতঃ চট্টগ্রাম অঞ্চলে বহুল পরিচিত ও ব্যবহৃত। চট্টগ্রামের আরেক নাম "বারো আউলিয়ার দেশ:"। বৃহত্তর চট্টগ্রামের দু'টি স্হানে বারো আউলিয়ার সমাধি দেখতে পাওয়া যায়। এর একটি হলো সীতাকুন্ড উপজেলার সোনাইছড়িতে আবস্হিত পীর বারো আউলিয়ার মাজার। প্রতি বছর ২২ শে মহররম এখানে অত্যন্ত জাঁক-জমকের সাথে বারো আউলিয়ার "উরস" উদযাপিত হয়ে থাকে। উরস উপলক্ষ্যে এখানে গরু-মহিষ-ছাগল প্রভৃতি জবেহ করা হয়ে থাকে। অনুষ্ঠিত হয় ইসলামী জলসা, খতমে কুরআন, মিলাদ-মাহফিল এবং সমাগত ভক্তবৃন্দের মধ্যে তবাররুক বিতরণ করা হয়।



গ্রামের নাম সোনাইছড়ি হলেও সীতাকুন্ড উপজেলার এ এলাকাটি বারো আউলিয়ার মাজার নামে সাধারন্যে বিশেষভাবে পরিচিতি লাভ করেছে। যদিও এখানে বারো আউলিয়ার অন্তর্গত কোন পীর বা আউলিয়ার মাজার শরীফ নেই। তবে এ স্থানটি বারো আউলিয়ার আস্তানা, খানকাহ, বা সম্মিলনস্হল ছিল বলে জানা যায়। ঐতিহাসিকদের মতে, সেই সুদুর আরব, ইরাক, ইরান বিভিন্ন দেশসমুহ থেকে ধর্ম প্রচারের জন্য আগত সুফী সাধকগণ এখানে শুভাগমন করতেন। তাঁরা এখানে বসে সকলে মিলে সমবেতভাবে পরামর্শ করে পরবর্তী কর্মপন্থা নির্ধারণ করতেন। এবং সেই মুতাবিক দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়তেন। এ সকল পীর আউলিয়াগনের কেউ কেউ অনেক সময় এখানে আবস্থান করে নির্জনে আল্লাহ্‌র ইবাদাত বন্দেগী ও আধ্যাত্মিক সাধনায় মগ্ন থাকতেন। ফলে অতি প্রাচীনকাল থেকেই এ জায়গাটি পীর বারো আউলিয়ার মাজার, দরগাহ্‌ বা আস্তানা হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছে।



জনশ্রুতি অনুসারে জ্ঞাত হওয়া যায় যে, হযরত আবদুর রশীদ আল মাদানী (রহঃ) নামে একজন উচ্চস্তরের কামেল অলী আল্লাহ্‌র মাজার এ স্থানে রয়েছে। যিনি সর্বদা আগন্তুক আউলিয়ায়ে কেরামদের খেদমত ও সোহবতে নিয়োজিত ছিলেন এবং সেখানেই ইবাদাত বন্দেগী ও আধ্যাত্মিক সাধনায় মগ্ন থাকতেন।



কথিত আছে যে, ঢাকা ট্রান্ক রোড (বর্তমান ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক) মোগল শাসক শাহজাদা শাহ্‌ শুজার আমলে নির্মিত হয়। তখন এ সড়কটির নাম ছিল 'শাহ্‌ শুজা সড়ক'। বহু সংখ্যক হাতি দ্বারা সড়কের নির্মান কাজ চলছিল। কিন্তু এস্থানে এসেই সকল রাজকীয় হাতিগুলো বসে পড়লো। অনেক চেষ্টা করেও মাহুত সেগুলিকে কিছুতেই আর উঠাতে পারছিল না। তখন খোঁজ নিয়ে গেল, সামান্য দুরেই হযরত আবদুর রশীদ আল মাদানী (রহঃ) সাহেব দু' চোখ বন্ধ করে গভীর ধ্যানে বসা। কর্মরত লোকজন তাঁর কাছে সবিনয়ে সালাম আরজ করে নিজেদের সমস্যার কথা জানালেন। তিনি তাদেরকে অভয় দিয়ে, আস্তানায় গিয়ে কিছু মান্নত করে আল্লাহ্‌র কাছে দোয়া চাইতে বল্লেন। কর্মকর্তারা তাঁর হাতে কিছু হাদিয়া পেশ করে, তাঁর কথামত আস্তানায় গিয়ে মহান আল্লাহ্‌র দরবারে আকুলভাবে প্রার্থনায় মগ্ন হলেন। আর সাথে সাথেই রাজকীয় সকল হাতী উঠে গিয়ে আবার সামনের দিকে চলতে শুরু করলো। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে বাংলার সুবেদার শাহ্‌ শুজার পক্ষ থেকে বারো আউলিয়ার আস্তানার নামে লাখেরাজ ১০ দ্রোন ভূ সম্পত্তি ওয়াক্‌ফ করে দেয়া হয়।



এছাড়া শহর থেকে প্রায় ৯-১০ কিমি দুরে বর্তমান চট্টগ্রাম-হাটহাজারী সড়কের বালুছড়া নামক স্হানে বারো আউলিয়ার নামে ১৯৩৩ খৃঃ নির্মিত একটা জামে মসজিদ রয়েছে।



ডঃ গোলাম সাকলায়েন কতৃক লিখিত "বাংলাদেশের সূফী-সাধক" গ্রন্থের ১২৯-১৩০ পৃষ্ঠায় চট্টগ্রামের "বারো আউলিয়ার" মধ্যে দশ জনের তালিকা দেয়া হয়েছে। যা নিম্নরুপঃ-

১। সুলতান বায়েযীদ বোস্তামী (রহঃ) - চট্টগ্রাম শহেরর পাঁচ মাইল উত্তরে নাসিরাবাদ পর্বতের চুড়ায়।

২। শেখ ফরীদ (রহঃ) - চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যালিটির এক মাইল উত্তরে ষোল শহরে পর্বতের পাদদেশে।

৩। বদর শাহ্‌ বা বদর আউলিয়া বা পীর বদর (রহঃ) - চট্টগ্রাম শহরের বকসীর হাটের পাশে (বদরপাতিতে)।

৪। কতল পীর (পীর কতল) (রহঃ) - চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যালিটির অর্ন্তগত কাতাল গঞ্জে।

৫। শাহ্‌ মহসিন আউলিয়া (রহঃ)- আনোয়ারা থানার অর্ন্তগত বটতলী গ্রামে।

৬। শাহ্‌ পীর (রহঃ) - সাতকানিয়ায়।

৭। শাহ্‌ উমর (রহঃ) - চকরিয়ায়।

৮। শাহ্‌ বাদল (রহঃ) - ধুম রেল ষ্টেশনের সন্নিকটে জামালপুরে।

৯। শাহ্‌ চাঁদ আউলিয়া (রহঃ) - পটিয়া থানার নিকটবর্তী।

১০। শাহ্‌ জায়েদ (রহঃ) - কান্দেরহাট রেল ষ্টেশনের নিকটবর্তী।



এছাড়া এককালের বাংলদেশের রাজধানী বিক্রমপুরের বড় কেওয়ার গ্রামে ও বারো আউলিয়ার মাজার রয়েছে।(আজ থেকে প্রায় বারো হাজার বছর আগে মহাভারতের যুগে বর্গরাজ্যে যে সভ্যতার সূচনা হয়েছিল তার রাজধানী ছিল বিক্রমপুরে। খৃষ্টীয় দ্বাদশ শতকেও এই বিক্রমপুর ছিল বাংলার রাজধানীর মর্যাদায় আভিসিক্ত। বর্তমানে অবশ্য এই বিক্রমপুর, মুন্সীগঞ্জ জেলার অর্ন্তগত। ১১৭৮ খৃষ্টাব্দে বাবা আদম শহীদ নামে এক মুসলিম দরবেশ বল্লাল সেনকে পরাজিত করে বিক্রমপুরকে মুসলিম রাজ্যের অর্ন্তভুক্ত করেন। বিক্রমপুরের আবদুল্লাহপুর গ্রামের সিপাহী পাড়ায় এ মহান সাধক ও যোদ্ধার পবিত্র মাজার রয়েছে।

তাঁর সম্মানার্থে বাংলার সুলতান জালালুদ্দিন আবু জাফর শাহ্‌'র পুত্র মালিক কাপুর শাহ্‌ ১৪৮৩ খৃষ্টাব্দে একখানা ছয় গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ নির্মাণ করেন। যা অদ্যাবধি সগৌরবে বিদ্যমান। The Romance Of Eastern Capital, তাওয়ারীখে ঢাকা, মসজিদ নির্দেশকা গ্রন্থে এ মসজিদের বিশদ বর্ণনা রয়েছে।



১৯৭৪ খৃষ্টাব্দে মুন্সীগঞ্জ জেলার সদর থানার অন্তর্গত বিক্রমপুরের বড় কেওয়ার গ্রামের তেতুলতলায় একটা প্রাচীন মাজারের সংস্কার কাজ চলছিল। সেখানে একখানা শিলালিপিতে বারোজন আউলিয়ার নাম পাওয়া গেছে। আরবী-ফার্সী ভাষায় ৪২১ হিজরী সনে লিখিত পবিত্র কলেমা -ই- তাইয়্যেবা খচিত এ পাথর খন্ডে বারো আউলিয়াগনের নাম পর্যায়ক্রমে উল্লেখ করা হয়েছে। উক্ত শিলালিপিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে, এ বারো জন ধর্ম প্রচারক দরবেশ আরবের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিক্রমপুরের বড় কেওয়ার গ্রামে এসে বসতি স্হাপন করে ইসলাম প্রচারে আত্মনিয়োগ করেছিলেন। তাঁদের নামঃ ১। হযরত শাহ্‌ সুলতান হুসাইনী (রহঃ) মদীনা থেকে আগত ২। হযরত সুলতান সাব্বির হুসাইনী (রহঃ) ৩। হযরত কবির হাশেমী (রহঃ) ৪। হযরত আল হাসান (রহঃ) ৫। হযরত শায়খ হুসাইন (রহঃ) ৬। হযরত আবুল হাশেম হুসাইনী (রহঃ) ৭। হাফেজ আবু বকর সিদ্দিক ৮। হযরত ইয়াসীন (রহঃ) ৯। হযরত ওবায়েদ ইবনে মুসলিম আসাদী (রহঃ) ১০। হযরত আবদুল হালীম (রহঃ) ১১। হযরত শাহাদাত হুসায়নী (রহঃ) ১২। হযরত আবদুল কাহ্‌হার বাগদাদী (রহঃ) ।



এঁরা বিক্রমপুরের বিভিন্ন অংশ যেমন - মুন্সীগঞ্জ, স্বরস্বতী, কেওয়ার, মহাকালী,বজ্রযোগিনী, চম্পাতলা রাজবাড়ী, শ্রীপুর ও কার্তিকপুর প্রভৃতি এলাকায় ইসলাম প্রচারে নিয়োজিত ছিলেন।

তথ্য সুত্রঃ মাসিক তরজুমান রবিউল আউয়াল সংখ্যা ১৪৩০ হিজরী। পৃষ্ঠা সংখ্যা- ১৫৬-১৫৭।



ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর গ্রামে বারো আউলিয়ার মাযার রয়েছে বলে জানা গেছে। এরা হচ্ছেন -

১। হযরত উড়িয়ান শাহ্‌ (রহঃ) - ওফাতঃ দ্বাদশ শতাব্দী

২। হযরত ময়েজউদ্দিন কানী শাহ্‌ (রহঃ) - ওফাতঃ ত্রয়োদশ শতাব্দী

৩।হযরত লাল শাহ্‌ (রহঃ) - ওফাতঃ ত্রয়োদশ শতাব্দী

৪। হযরত কলিম উল্লাহ শাহ্‌ (রহঃ) - ওফাতঃ ত্রয়োদশ শতাব্দী

৫। হযরত ময়েজউদ্দিন ইয়ামানী (রহঃ) - ওফাতঃ ত্রয়োদশ শতাব্দী

৬। হযরত শাহ্‌ বোখারী বাগদাদী (রহঃ) - ওফাতঃ চতুর্দশ শতাব্দী

৭। হযরত বুট্টি শাহ্‌ বাগদাদী (রহঃ) - ওফাতঃ চতুর্দশ শতাব্দী

৮। হযরত যায়েদ শাহ্‌ বাগদাদী (রহঃ) - ওফাতঃ চতুর্দশ শতাব্দী

৯। হযরত জালাল শাহ্‌ বাগদাদী (রহঃ) - ওফাতঃ চতুর্দশ শতাব্দী

১০। হযরত মুছি শাহ্‌ হাক্কানী্‌ (রহঃ) - ওফাতঃ চতুর্দশ শতাব্দী

১১। হযরত শাহ্‌ আলী ছতরী (রহঃ) - ওফাতঃ চতুর্দশ শতাব্দী

১২। হযরত আবদুল্লাহিল কাফী (রহঃ) - ওফাতঃ ষোড়শ শতাব্দী



তথ্য সুত্রঃ চরিতাভিধানঃ বৃহত্তর ফরিদপুর, লেখক- সাঈদা জামান ও মহসিন হোসাইন, প্রকাশকাল- ১৯৯২ খৃষ্টাব্দ।



"বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর গ্রামে একটা প্রাচীন মসজিদ আছে। এটি খুব সম্ভব সুলতানী আমলের শেষদিকে তৈরি হয়েছিল। এই মসজিদে অনেক নুতন কাজ করা হয়েছে। ফলে এর প্রাচীন রুপ বের করা কঠিন। সুলতানী আমলে তৈরি এটি চতুর্থ নয় গম্বুজ মসজিদ।"



তথ্য সুত্রঃ বাংলাদেশের প্রাচীন কীর্তি - (দ্বিতীয় খন্ড- মুসলিম যুগ) লেখক- আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া, প্রকাশকাল- ২০০৭ খৃষ্টাব্দ, পৃষ্ঠা সংখ্যা-২১৫।



খৃষ্টীয় চতুর্দশ শতকে তরফ রাজ (হবিগঞ্জ) আচক নারায়ণের বিরুদ্ধে সমরাভিযানে হযরত নাসির উদ্দিন সিপাহসালার (রহঃ) এর সঙ্গে ছিলেন বারো জন আউলিয়া।

তাঁরা হলেনঃ

১। হযরত শাহ্‌ গাজী (রহঃ) -বিষ গ্রাম, (সিলেট) মাজার।

২। হযরত শাহ্‌ মজলিস আমিন (রহঃ) - উচাইল (সিলেট) নামক স্হানে মাজার।

৩। হযরত শাহ্‌ ফতেহ গাজী (রহঃ) - মাজার ফতেপুর (সিলেট)।

৪। হযরত সৈয়্যদ শাহ্‌ সায়েফ মিন্নাত উদ্দীন (রহঃ)- লস্করপুর (সিলেট) মাজার।

৫। হযরত শাহ্‌ আরেফীন (রহঃ) - মাজার লাউর (সিলেট)।

৬।হযরত শাহ্‌ তাজ উদ্দীন কুরাইশী (রহঃ) - চৌকী পরগনায় (সিলেট) মাজার।

৭। হযরত শাহ্‌ রোকন উদ্দীন আসোয়ারী (রহঃ) - মাজার সরাইল, ব্রাক্ষ্মণ বাড়ীয়া।

৮। হযরত শাহ্‌ বদর (রহঃ) - ভারতের বদরপুরে মাজার।

৯। হযরত শাহ্‌ মাহমুদ (রহঃ) - উর্দু বাজার, লস্করপুর (সিলেট) মাজার।

১০। হযরত শাহ্‌ সুলতান (রহঃ) - বদরপুর, (ময়মনসিংহ) মাজার।

১১। হযরত শাহ্‌ বদর উদ্দীন (রহঃ) - চট্টগ্রামের বকসীর হাটে মাজার।

১২। হযরত সৈয়্যদ আহমদ গিছুদরাজ (রহঃ) খড়মপুর, (আখাউড়া) মাজার।



তরফ বিজয়ের পর হযরত নাসির উদ্দিন সিপাহসালার (রহঃ) তরফের শাসক নিযুক্ত হন। হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলাধীন খোয়াই নদী বিধৌত মুড়ারবন্দে তাঁর মাজার রয়েছে। আজ থেকে প্রায় ৭০০ বছর আগে হযরত নাসির উদ্দিন সিপাহসালার (রহঃ) এর ওফাত হয়।

তথ্য সুত্রঃ সিপাহসালার সৈয়দ নাসির উদ্দিন (রহঃ)- লেখকঃ এস, এম, ইলিয়াছ।



এছাড়া, ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপ-জেলার বারো বাজার নামক স্হানেও বারো আউলিয়ার মাযার রয়েছে।



তথ্য সুত্রঃ বাংলাদেশের প্রাচীন কীর্তি - (দ্বিতীয় খন্ড- মুসলিম যুগ) লেখক- আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া, প্রকাশকাল- ২০০৭ খৃষ্টাব্দ, পৃষ্ঠা সংখ্যা-৬৯-৭০,৮৬।

ইসলাম বিরোধী বই লিখতে গিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেন এই লেখক


নেদারল্যান্ডসের কট্টর ডানপন্থী রাজনীতিক ও দেশটির পার্লামেন্টের সাবেক এমপি জোরাম ভ্যান ক্ল্যাভারেন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। ক্ল্যাভারেন বলেছেন, ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে একটি সমালোচনামূলক বই লিখতে গিয়ে তিনি ধর্মান্তরিত হয়েছেন।

ডাচ রেডিওকে দেয়া এক স্বাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বই লেখার সময় আমি ইসলাম সম্পর্কে অনেক পড়াশোনা করেছি, যে কারণে ইসলাম সম্পর্কে আমার ধারণা পাল্টে গেছে।


২০১০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ফ্রিডম পার্টি (পিভিভি) থেকে পার্লামেন্টের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু ২০১৪ সালে গ্রিট উইল্ডার্সের আহ্বানের পর তিনি ওই দল ত্যাগ করেন নতুন একটি রাজনৈতিক গঠন করেন। ২০১৭ সালে নেদারল্যান্ডসের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে হেরে যান তিনি। নির্বাচনে হেরে রাজনীতিকে বিদায় জানান ক্ল্যাভারেন।

নেদারল্যান্ডসের সান্ধ্যকালীন দৈনিক এনআরসি বলছে, পিভিভির রাজনীতিক হিসেবে কাজ করার সময় ইসলামের কট্টর সমালোচক ছিলেন তিনি। ওই সময় তিনি বলেন, ইসলাম একটি মিথ্যা এবং কোরআন হচ্ছে বিষ।

তার এই মন্তব্য নিয়ে এখন নিজেকে অপরাধী মনে হয় কি-না; এমন এক প্রশ্নের জাবে এনআরসিকে ক্ল্যাভারেন বলেন, সেই সময় তিনি ভুল করেছিলেন। তিনি বলেন, পিভিভির রাজনৈতিক নীতি হচ্ছে : সব ভুলের সঙ্গ ইসলামকে কোনো না কোনোভাবে জড়াতে হবে।


এর আগে পিভিভির সাবেক সদস্য আর্নড ভ্যান দুর্ন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ক্ল্যাভারেন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করায় টুইটারে তাকে অভিনন্দন জানিয়েছে আর্নড। তিনি লিখেছেন, পিভিভি ধর্ম ত্যাগের প্রজনন স্থল হয়ে উঠবে তা আমি কখনোই ভাবি নাই।

সূত্র : পলিটিকো।

____আসরাফুল_ইসলাম[মিচকে_শয়তান]


পাবজি গেম নিষিদ্ধ করলো নেপাল




জনপ্রিয় অনলাইন গেম প্লেয়ার আননোন’স ব্যাটলগ্রাউন্ডস (পাবজি) নিষিদ্ধ করলো নেপাল। দেশটি গত বৃহস্পতিবার গেমটি দেশব্যাপী নিষিদ্ধ করে। খবর রয়টার্সের।


দেশটির কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পাবজি গেমটির সহিংস বিষয়বস্তু শিশুদের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে।


নেপাল টেলিযোগাযোগ কর্তৃপক্ষের ডেপুটি ডিরেক্টর সন্দীপ অধিকারি রয়টার্সকে বলেন, আমরা পাবজি গেম নিষিদ্ধের নির্দেশ দিয়েছি কেননা এই গেমটিতে শিক্ষার্থীরা আসক্ত হচ্ছে।


পাবজি গেম বন্ধে দেশটি সব ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানকে ব্লক করে দেয়ার জন্য লিখিত নির্দেশ পাঠায়। কাঠমান্ডু জেলা আদালতের নির্দেশনায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে খবরে বলা হয়েছে।


নেপালের শিক্ষক ও অভিভাবকদের অভিযোগ, পাবজি গেমটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহিংসতা ঢুকিয়ে দিচ্ছে সেইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা থেকেও মনোযোগ কমিয়ে দিচ্ছে।


২০১৭ সালে পাবজি গেম চালু হওয়ার পর থেকে এখনো পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। খবরে বলা হয়েছে গেমটি ১০ কোটিরও বেশি বার ডাউনলোড করা হয়েছে।


সূঃ এআর 
_আসরাফুল_ইসলাম_  
 

 

 

Tuesday, April 16, 2019

মহানবী হজরত মুহাম্মদ(সাঃ) এর ২০ টি হাদিস


নবীকূল শিরোমণি সর্বশ্রেষ্ঠ মানব ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হতে বর্ণিত ২০টি হাদীস উপস্থাপন করা হল:👉

(১) 

রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: ‘বিজ্ঞজনদের মাঝে গর্ব করার উদ্দেশ্যে, মূর্খদের সাথে তর্ক করার উদ্দেশ্যে, সভায় প্রশংসা কুড়ানোর জন্য, জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য, নেতৃত্ব লিপ্সুতার জন্য ও শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের উদ্দেশ্যে জ্ঞানের সন্ধান করো না। যদি জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে কারো উদ্দেশ্য এমন হয় তবে তার স্থান হবে জাহান্নাম’। 

[লি-আলীল আখবার, পৃ. ১৯৩]

(২) 

মহানবী (স.) বলেছেন: ‘তোমরা ধ্বংস হয়ে যাওয়ার জন্য সৃষ্টি হওনি, বরং তোমরা অবশিষ্ট থাকার জন্য সৃষ্টি হয়েছো। আর তোমরা [মৃত্যুর মাধ্যমে] এক স্থান হতে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হবে’।

 (বিহারুল আনওয়ার, খণ্ড ৩, পৃ. ১৬১)

(৩) 

আল্লাহর নবী (স.) বলেছেন: ‘আশা-আকাঙ্খা আমার উম্মতের জন্য একটি রহমত স্বরূপ, যদি আশা না থাকতো তবে কোন মা তার সন্তানকে দুধ পান করাতো না এবং কোন মালিই গাছ লাগাতো না’ (তথা কোন কৃষকই চাষাবাদ করতো না)। 

(সাফিনাহ, আমাল, পৃ. ৩০)

(৪) 

হযরত (স.) বলেছেন: ‘ঈমানদার ব্যক্তিদের সম্মান জনগণ হতে তাদের অমুখাপেক্ষীতার মাঝে নিহীত, আর মুক্তি ও আত্মমর্যাদা অল্পে তুষ্টতার মাধ্যমে অর্জিত হয়’। 

(আদাব ওয়া আখলাক দার ইসলাম, পৃ. ৩১৮)

(৫) 

নবি করিম (স.) বলেছেন: ‘যে ব্যক্তি ঘুমানোর পূর্বে আয়াতাল কুরসী পড়ে, মহান আল্লাহ্ তাকে রক্ষার জন্য একটি ফেরেশতা নিযুক্ত করেন যাতে সে সুস্থ অবস্থায় সকালে পৌঁছায়’ (বা জাগ্রত হয়)।

 (তাফসিরে মিনহাজুস সাদিকীন, খণ্ড ২, পৃ. ৯২)

(৬) 

রাসূলে (স.) বলেছেন: মহানবী (স.) কে জিজ্ঞেস করা হল, কেয়ামতের দিনের পরিত্রাণ কোন জিনিসের মাঝে নিহীত?

তিনি উত্তরে বললেন: ‘পরিত্রাণের একমাত্র পথ তোমরা হচ্ছে মহান আল্লাহকে ধোকা দিও না, এমনটি করলে মহান আল্লাহও তোমাদেরকে ধোকা দিবেন। কেননা যে ব্যক্তি আল্লাহকে ধোকা দেয় মহান আল্লাহও তাকে ধোকা দেন এবং তার হতে ঈমান কেড়ে নেন, যদি সে বুঝতে পারে তবে [বুঝবে যে] প্রকৃত অর্থে সে নিজেকেই ধোকা দিয়েছে’। বলা হল হে আল্লাহর রাসূল কিভাবে আল্লাহকে ধোকা দেওয়া হয়? তিনি বললেন: ‘মহান আল্লাহ্ যে কর্ম সম্পাদনের নির্দেশ তোমাদেরকে দিয়েছেন তা তোমরা সম্পাদন করো কিন্তু তোমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে [আল্লাহ ব্যতীত] অন্য কেউ’। অতঃপর বললেন: তাকওয়া অর্জন কর এবং লোক দেখানো হতে দূরে থাকো, কেননা লোক দেখানো বা রিয়া হচ্ছে মহান আল্লাহর সাথে শিরক করা। লোক দেখিয়ে কর্ম সম্পাদনকারীকে কেয়ামতের দিন ৪টি নামে ডাকা হবে: হে কাফের, হে পাপাচারী, হে ধোকাবাজ, হে ক্ষতিগ্রস্থ, তোমার সকল কর্ম ধ্বংস হয়ে গেছে এবং তোমার সকল সওয়াব বাতিল হয়ে গেছে’। 

(আমালিয়ে সাদুক, পৃ. ৫৮২)

(৭) 

আল্লাহর নবী (স.) বলেছেন: ‘নিশ্চয়ই আমি উত্তম নৈতিকতার পরিপূর্ণতা দানের জন্য প্রেরিত হয়েছি’। 

(বিহারুল আনওয়ার, খণ্ড ৬৭, পৃ. ৩৭২)

(৮) 

মহানবী (স.) বলেছেন: ‘সর্বোত্তম নৈতিকতার অধিকারী ব্যক্তিরা হচ্ছে তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম; যারা জনগণকে ভালবাসে এবং জনগণও যাদেরকে ভালবাসে’।

 (মিশকাতুল আনওয়ার ফি গুরারিল আখবার, পৃ. ১৮০)

(৯) 

নবি করিম (স.) বলেছেন: ‘তোমাদের মধ্যে বৃদ্ধদেরকে সম্মান কর এবং ছোটদেরকে স্নেহ করো’। 
(আমালিয়ে সাদুক, পৃ. ৯৪)

(১০) 

আল্লাহর রাসুল (স.) বড় ও বয়োজেষ্ঠ্যদের সম্মান সম্পর্কে বলেছেন: ‘মহান আল্লাহর পবিত্র সত্ত্বার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের একটি রূপ হচ্ছে মুসলিম বৃদ্ধ ও বয়োজেষ্ঠ্যদের প্রতি সম্মান করা’। 

(আল-কাফী, খণ্ড ২, পৃ. ১৬৫)

(১১) 

মুহাম্মাদ (স.) বলেছেন: ‘যে ব্যক্তি কোন মুসলিম বৃদ্ধকে সম্মান করে, মহান আল্লাহ্ তাকে কেয়ামতের দিনের ভয় হতে নিরাপত্তা দান করেন’। 

(লি-আলি’ল আখবার, পৃ. ১৮১)

(১২) 

এক বৃদ্ধ ব্যক্তি মহানবী (স.) এর সমীপে উপস্থিত হল, কিন্তু উপস্থিত ব্যক্তিরা কেউই তার সম্মান করলো না এবং তাকে জায়গা দিতে অলসতা দেখালো। (উপস্থিতদের এহেন আচারণে অসন্তুষ্ট হয়ে) মহানবী (স.) বললেন: ‘যারা আমাদের ছোটদেরকে স্নেহ করেনা এবং বৃদ্ধদের প্রতি সম্মান দেখায় না, তারা আমাদের হতে নয়’।

 (মিশকাতুল আনওয়ার ফি গুরারিল আখবার, পৃ. ১৬৮)

(১৩) 

দুই জাহানের রহমতের নবী (স.) হতে বর্ণিত: ‘তোমাদের সন্তানদেরকে সম্মান করো এবং তাদের সাথে আদবের সাথে আচরণ করো’। 

(বিহারুল আনওয়ার, খণ্ড ২৩, পৃ. ১১৪)

(১৪) 

আল্লাহর নবী (স.) বলেছেন: ‘তিনটি এমন জিনিষ আছে যাতে কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হয়নি; প্রথম: প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা, চাই অপর পক্ষ মুসলমান হোক বা কাফের। দ্বিতীয়: পিতা মাতার প্রতি দয়াশীল হওয়া, চাই তারা মুসলমান হোক বা কাফের। তৃতীয়: আমানত রক্ষা করা, চাই অপর পক্ষ মুসলমান হোক বা কাফের’। মাজমুয়াতুল ওয়ারাম 

(তানবিহুল খাওয়াতের), খণ্ড ২, পৃ. ১২১)

(১৫) 

হযরত মুহাম্মাদ (স.) বলেছেন: ‘যে ব্যক্তি কথায় অধিক সত্যবাদী, আমানত রক্ষায় অধিক সতর্ক, প্রতিশ্রুতি রক্ষায় অধিক ওয়াফাদার, যার চরিত্র অধিক উত্তম এবং তোমাদের মধ্য হতে জনগণের সাথে যার সম্পর্ক অতি নিকটের, সে কেয়ামতের দিন তোমাদের মধ্য হতে আমার সবচেয়ে নিকটবর্তী ব্যক্তি’।

 (তারিখে ইয়াকুবী, খণ্ড ২, পৃ. ৬০)

(১৬) 

মহানবী (স.) বলেছেন: ‘যে ব্যক্তির অধিকার রক্ষার বিষয়ে তুমি সতর্ক কিন্তু সে তোমার অধিকার রক্ষায় সতর্ক নয়, সে তোমার জন্য উত্তম বন্ধু নয় এবং সে তোমার সাথে ওঠাবসার যোগ্য নয়’। 

(নাহজুল ফাসাহাহ, পৃ. ৬৭৬)

(১৭) 

নবি করিম (স.) বলেছেন: ‘আমি এবং আমার উম্মতের মধ্যে পরহেজগার ব্যক্তিরা, অন্যের উপর কষ্টসাধ্য কোন কাজ চাপিয়ে দেওয়া হতে অনেক দূরে’ (অন্যের উপর চাপিয়ে দেই না)। 

(এহইয়াইল উলুম, পৃ. ২)

(১৮) 

আল্লাহর রাসূল (স.) বলেছেন: ‘যে ব্যক্তি জনগণের মাঝে সবচেয়ে প্রিয় হতে চায়, তার উচিত গুনাহ হতে দূরে সরে মহান আল্লাহর তাকওয়া অর্জন করা’। 

(কানযুল ফাওয়ায়েদ, খণ্ড ২, পৃ. ১০)

(১৯) 

প্রিয় নবী (স.) বলেছেন: ‘নম্রতা, বান্দার মর্যাদা বৃদ্ধি করে; সুতরাং নম্র হও যাতে মহান আল্লাহর অনুগ্রহ ও রহমতের শামিল হতে পারো’। 

(নাহজুল ফাসাহাহ, পৃ. ২৭৭)

(২০) 

মহানবী (স.) এমন একদল লোকের মাঝ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন যাদের মধ্যে শক্তিধর এক লোক ছিল। যে বড় বড় পাথর উত্তোলন করছিল এবং উপস্থিত লোকেরা তাকে ভারউত্তোলনের বীর হিসেবে বাহবা দিচ্ছিলো। আর ঐ ক্রীড়াবিদের কর্মকাণ্ডে সকলে অবাক হচ্ছিল। আল্লাহর নবী (স.) জিজ্ঞেস করলেন: এখানে লোক সমাগমের কারণ কি? জনগণ ভারউত্তোলক ঐ ব্যক্তির কর্মকাণ্ডের কথা সম্পর্কে মহানবী (স.) কে অবগত করলো। রাসূলে আকরাম (স.) বললেন: ‘তোমাদেরকে কি বলবো না যে, এ ব্যক্তির চেয়ে শক্তিশালী কে?
তার চেয়ে শক্তিশালী হচ্ছে সে, যাকে গালী দেওয়া হয় কিন্তু সে ধৈর্য্য ধারণ করে নিজের প্রতিশোধ পরায়ন নফসের উপর নিয়ন্ত্রন রাখে এবং নিজের শয়তান ও তাকে গালি দানকারী শয়তানের উপর বিজয়ী হয়। 

(তারায়েফুল হেকাম, পৃ. ৪০০)

_হাদিস থেকে সংগ্রহীত_ 

-লেখক_আসরাফুল_ইসলাম 
  

স্মার্টফোন থেকে নিজের চোখ বাঁচানো ৩ উপায়


প্রতিদিন জরুরি কারণে অথবা ফেসবুক বা সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় কাটাতে স্মার্টফোনের টাচস্ক্রিনে ঘনঘন চোখ রাখতেই হয় আমাদের। আমেরিকায় এক জরিপে জানা গেছে, প্রতি তিনজন পূর্ণ বয়স্কের মধ্যে একজন প্রতিদিন ১০ ঘন্টারও বেশি সময় মোবাইল ফোনের টাচস্ক্রিন ব্যবহার করেন। এছাড়া শিশুরাও টাচস্ক্রিনে আসক্ত হয়ে পড়ায় বড়দের মতো তাদেরও চোখের নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ডিউক ইউনিভার্সিটি আই সেন্টারের চক্ষু বিশেষজ্ঞ প্রিয়া গুপ্তা জানান, আমরা যখন স্মার্টফোন অতিরিক্ত ব্যবহার করি, তখন আমাদের চোখের পাতা কম পিটপিট করে। আর সে কারণে চোখ চুলকায়, জ্বলে ও অস্বস্তিবোধ হয়। গত ৫ বছরে চক্ষুরোগীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেড়ে গেছে জানিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর কারণ বেশি স্মার্টফোন ব্যবহার করা। এ পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলেও জানিয়েছেন অনেক বিশেষজ্ঞ। তবে দ্রুতগতির জীবনে স্মার্টফোন ছাড়া চলাই যেন অসম্ভব। এ অবস্থায় আমাদের চোখও রক্ষা করা জরুরি।
স্মার্টফোন থেকে আমাদের চোখ রক্ষা করার তিনটি সহজ উপায় জেনে নিন।

আমেরিকার ন্যাশনাল আই ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার র্যাচেল বিশপ বলেছেন, মোবাইলের স্ক্রিন থেকে চোখ রক্ষায় বিশ-বিশ-বিশ কৌশল অবলম্বন করলে উপকার পাওয়া যায়। মোবাইল টাচস্ক্রিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রতি ২০ মিনিট পর ২০ ফুট দূরে ২০ সেকেন্ড তাকিয়ে থাকতে হবে। এতে করে মস্তিষ্ক যেমন অবসর পাবে, তেমনি চোখের মাংসপেশিগুলোও স্বস্তি পাবে।

 _  Like Our Facebook Page

• ডাক্তার গুপ্তা বলেছেন আমরা অতিরিক্ত টাচস্ক্রিনে তাকিয়ে থাকার কারণে চোখে যে ক্লান্তি আসে, তা দূর করতে বারবার চোখ পিট পিট করলে বেশ উপকার পাওয়া যাবে।

শেষ একটি সহজ উপায় হচ্ছে, টাচস্ক্রিনের আলো আপনার চোখের জন্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা। আপনার স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, টিভি ও কম্পিউটারের ব্যাকগ্রাউন্ড ব্রাইটনেস কমিয়ে রাখুন। এতে করে চোখের যন্ত্রণা বা অস্বস্তি কমবে বলেই জানান ডাক্তার গুপ্তা।

তথ্যসূত্র :
             হেলথ ডট কম

Saturday, January 19, 2019

Islamic post








Sunday, December 23, 2018

 ফোন বিস্ফোরণ ঠেকাবেন কী ভাবে

Featured Documents

Customization

View more

Tips and Tricks

View more

Image Documents

View more

Tutorials

View more

Legal Documents

View more

Getting Started

View more