নীল ছবির ভেতরের কিছু রহস্য

 নীল ছবি নিয়ে বিশুদ্ধবাদীরা যতই নাক উঁচু করেন না কেন এই ইন্ডাস্ট্রি যে দুনিয়ার সবচেয়ে বড় সেটা তথ্যই প্রমাণ করে।
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের একটা বৃহৎ অংশ সুযোগ পেলেই নীল সাইটে ঢু মারেন তা নানা গবেষণায়ই উঠে এসেছে। মানুষ নীল ছবির হাতছানিতে মাঝেমাঝেই ধরা দেয়, কিন্তু পর্দার ওপারে ঠিক কী ঘটে?  এই নীল ইন্ডাস্ট্রির কিছু কঠিন সত্য কখনই সামনে আসে না।

আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনে রইলো নীল ছবির সেই সব কঠিন সত্য সম্পর্কে বিস্তারিত যা কখনই সামনে আসে না, থাকে ক্যামেরার পেছনে-

১. একদশক আগেও এই ব্যবসায়ে যা লাভ হত, ইদানীং তা আর হয় না। এর জন্য অধিকাংশ ফ্রি নীলসাইটকেই দায়ী করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে তৃতীয় বিশ্ব থেকে ক্রমাগত এমএমএস আপলোড নীল ইন্ডাস্ট্রিকে বিপুল বিপদে ফেলেছে।

২. নীলতারকারা ইদানীং যা পারিশ্রমিক পান, তা নিয়ে তারা সন্তুষ্ট হতে পারেন না। বহুক্ষেত্রেই প্রযোজনা সংস্থা বা পরিচালকের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। আশি বা নব্বইয়ের দশকেও এই সমস্যাটা ছিল না।

৩. বলা বাহুল্য, এই ইন্ডাস্ট্রিতে যারা আসেন, তারা জেনে বুঝেই আসেন। এখানকার স্টারডম একেবারেই সাধারণ ছবির জগতের মতো নয়। খুব বেশিদিন নীল অভিনয় করেছেন, এমন উদাহরণ খুব কম।

৪. ছবিতে যেসব উত্তেজক মুহূর্ত দেখানো হয়, তার ৯০ শতাংশই নকল। কেবলমাত্র দর্শকদের মনোরঞ্জনের জন্য অভিনেতা-অভিনেত্রীদের এই রকম অভিনয় করতে হয়। মনে রাখা প্রয়োজন, নীলও একটি সিনেমা। এবং এতে অভিনয়ই হয়ে থাকে।

৫. বড় প্রোডাকশন হলে সেক্ষেত্রে নীল ছবির সেট আলাদাভাবে প্রস্তুত করা হয়। তবে তৃতীয় বিশ্বের বেশিরভাগ নীলের শ্যুটিং সস্তা হোটেলে বা বাড়িতে করা হয়। তবে মারিও স্যালিয়ারির মতো বিশ্বখ্যাত নীল পরিচালক সুবিশাল টিম ও সেটআপ নিয়ে কাজ করেন।

৬. নীল তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন খুবই স্বাভাবিক। রন জেরেমি, ম্যাগডালেন সেন্ট মাইকেল বা জুলিয়া অ্যানতো রীতিমতে সম্মানিত। কিন্তু এই জায়গায় পৌঁছতে ভয়াবহ স্ট্রাগল করতে হয়। অনেকেই হারিয়ে যান অন্ধকারে। 

৭. অন্যান্য সিনেমার মতো নীল ছবির শ্যুটিংয়ে বিপুল সংখ্যক টিম মেম্বার থাকে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেটে অভিনেতা-অভিনেত্রী ছাড়া চিত্রগ্রাহক, পরিচালক এবং একজন সাউন্ড রেকর্ডিস্টই শুধু থাকেন। তবে ইতালি বা স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলিতে নীল একটা রীতিমতো ইন্ডাস্ট্রি।

 @copy_right
.................. #সংগৃহিত_পোষ্ট_ দেশের_সংবাদ